ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ: মঈন খান

নিজস্ব সংবাদ :

বাংলাদেশ নতুন প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘এই দেশ নতুন প্রজন্মের দেশ। আমরা নতুন প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তারা লেখাপড়া শেষ করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। যারা এখনো পড়াশোনা শেষ করেননি, তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবেন। দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য তারা প্রস্তুতি নেবেন। তারা জনগণের ভোটের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।’

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান মঈন খান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার কখনো থেমে থাকে না। আগে সংস্কার পরে নির্বাচন এ কথার কোনো অর্থ নেই। নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কার, প্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ অত্যবশীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করতে হবে। বিগত তিনটি নির্বাচনে নতুন প্রজন্মের কেউ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। তারা ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন। আশা করি, সমন্বয়ের মাধ্যমে অতিদ্রুত শেষ করতে হবে।’

মঈন খান বলেন, ‘গত দেড় দশক ধরে দেশের উপর একটি স্বৈরাচারী শাসন চেপে বসেছিল। দেশের মানুষের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও কথা বলার অধিকার হরণ করেছিল। বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছে।’

বিএনপির এই অন্যতম সিনিয়র নেতা বলেন, ‘কোটা আন্দোলন হাজার হাজার ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে মুক্তির আন্দোলনে রূপান্তিত হয়েছিল। এতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা কাপুরুষের মত দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। আগস্টে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন সেটা ছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এটি শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়, অর্থনৈতিক অধিকারের আন্দোলনও। সেই আন্দোলনে দেশের সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ছিল। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তারা সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক পরিচয়ে যায়নি, ছাত্র পরিচয়ে গিয়েছিল।’

মঈন খান বলেন, ‘১৯ জুলাই নরসিংদীতে শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকা জনতা জেল ভেঙে বের হয়ে আসেন। সেদিন ৩৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৪ জন ছাত্রের প্রত্যেকে ছিল জাতীয়তাবাদী পরিবারের। তারা সেদিন বিএনপি পরিচয়ে যায়নি, ছাত্রের পরিচয়ে জীবন দিয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল। কি কারণে জীবন দিয়েছিল? দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে হবে, এখানে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সাংগঠনিক শ্যামল মালুম, যুগ্ম সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেনসহ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
৬০ বার পড়া হয়েছে

নতুন প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ: মঈন খান

আপডেট সময় ০৩:১০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ নতুন প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘এই দেশ নতুন প্রজন্মের দেশ। আমরা নতুন প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তারা লেখাপড়া শেষ করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। যারা এখনো পড়াশোনা শেষ করেননি, তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবেন। দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য তারা প্রস্তুতি নেবেন। তারা জনগণের ভোটের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।’

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান মঈন খান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার কখনো থেমে থাকে না। আগে সংস্কার পরে নির্বাচন এ কথার কোনো অর্থ নেই। নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কার, প্রশাসন সংস্কার, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ অত্যবশীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করতে হবে। বিগত তিনটি নির্বাচনে নতুন প্রজন্মের কেউ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। তারা ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন। আশা করি, সমন্বয়ের মাধ্যমে অতিদ্রুত শেষ করতে হবে।’

মঈন খান বলেন, ‘গত দেড় দশক ধরে দেশের উপর একটি স্বৈরাচারী শাসন চেপে বসেছিল। দেশের মানুষের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও কথা বলার অধিকার হরণ করেছিল। বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছে।’

বিএনপির এই অন্যতম সিনিয়র নেতা বলেন, ‘কোটা আন্দোলন হাজার হাজার ছাত্রের রক্তের বিনিময়ে মুক্তির আন্দোলনে রূপান্তিত হয়েছিল। এতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা কাপুরুষের মত দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। আগস্টে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন সেটা ছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এটি শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়, অর্থনৈতিক অধিকারের আন্দোলনও। সেই আন্দোলনে দেশের সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ছিল। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তারা সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক পরিচয়ে যায়নি, ছাত্র পরিচয়ে গিয়েছিল।’

মঈন খান বলেন, ‘১৯ জুলাই নরসিংদীতে শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকা জনতা জেল ভেঙে বের হয়ে আসেন। সেদিন ৩৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৪ জন ছাত্রের প্রত্যেকে ছিল জাতীয়তাবাদী পরিবারের। তারা সেদিন বিএনপি পরিচয়ে যায়নি, ছাত্রের পরিচয়ে জীবন দিয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল। কি কারণে জীবন দিয়েছিল? দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে হবে, এখানে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সাংগঠনিক শ্যামল মালুম, যুগ্ম সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেনসহ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।